চিনি ও মধু যখন রঙ করতে বসে তখন সেটা একটা পর্যায়ে আর রঙ করার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না বরঙ সেটা হয়ে যায় রঙ নিয়ে খেলা, মাখামাখি করা। এটা তারা অনেকক্ষণ ধরে খেলে। খেলা শেষে রঙ নেই এমন জায়গা খুঁজে পাওয়া হয় মুশকিল। সত্যি ওদের এই কান্ড আমাকে একেবারেই বিরক্ত করে না। মনেই হয় না যে এখন ফ্লোর মুছতে হবে, গোসল করাতে হবে, রঙ তুলতে হবে! বরঙ আমরা তিনজন একসাথে পরিস্কারের কাজটা করি। ছড়িয়ে খেলার যতটা আনন্দ হয় ঠিক তেমনি গোছানোর উত্তেজনাও কম দেখা যায় না! কারণ দুটোই তাদের কাছে খেলা।
আমি একটা বিষয় খেয়াল করেছি, চিনি ও মধু যখন রঙ খেলে তখন রঙ দিয়ে কিছু এঁকে ফেলার উত্তেজনায় ওদের চোখমুখ ঝলমল করতে থাকে। গোসল করে পরিচ্ছন্ন হয়ে যাবার পর ওদের চেহারায় একটা প্রশান্তি দেখতে পাই। মনে হয় মনের মতো একটা কিছু ওরা করতে চেয়েছিল, করে ফেলেছে; তখন ওরা শান্ত। তখন ওরা কথা শোনে, মেনে চলে। আসলে শিশুদের মধ্যে এত্তো এনার্জি থাকে যে খুব সুবোধ হয়ে এই উত্তেজনা নিয়ে এরা বসে থাকতে পারেনা। ছটফট করতে থাকে। তখন মনে হয় কী করি, কী করি! ভীষণ ক্ষুধা লাগলে যে অনুভূতি হয় ব্যাপারটা ঠিক সেরকম। তখন আসলে ওদের কিছু করতে দেয়া চাই। এমন কিছু যা তারা মনের আনন্দে করতে পারবে, খেলতে পারবে। সে সময়গুলোতে রঙের এই খেলাটা চিনি ও মধুর জন্য দারুণ কাজ করে।