আমাদের বাড়িতে কোন পোষা বেড়াল, কুকুর, খরগোস বা পাখি নেই। ওরা এখনও বেশ ছোট আরেকটু বড় হলে হয়তো যখন নিজেরা যত্ন করতে শিখবে তখন হয়তো রাখবে। কিন্তু তাঁর আগেই ওদের কোন কিছুর যত্ন নেয়া শেখানো দরকার বলে মনে হল। সেদিক থেকে বিবেচনা করে ওদের জন্য ছোট বাগান করে দিলাম। ওরা প্রতিদিন নিয়ম করে একবার গাছেদের যত্ন নেয়। দেখা করে আসে, খবর নেয় গাছ শুকিয়ে গেছে কিনা, গাছের খাবার লাগবে কিনা, পানি ঠিকমতো দেয়া হচ্ছে কিনা। গাছের খবর নেবার সময় ওরা গাছেদের হাত বুলিয়ে আদর করে দেয়, চুমু খায়। ওরা জানে গাছের প্রাণ আছে, গাছ বড় হয়। গাছের যত্ন নিতে হয়। শিখেছে গাছের পাতা ছিঁড়তে হয় না, ছিঁড়লে গাছ কষ্ট পায়। এই অনুভূতিগুলো ওদের ভেতরে এম্প্যাথি তৈরি করতে সাহায্য করেছে। একই সাথে নিজেদের যত্ন নেবার প্রতিও মনোযোগী হয়েছে। এই যত্ন নেবার পুরো বিষয়টাই কিন্তু ওদের কাছে একটা খেলা। সময় কাটানোর জন্য দারুণ একটা খেলা।