চিনি ও মধু জীবনে আসবার পর থেকেই এমন কিছু কখনই বলিনি বা করিনি যাতে করে ওরা মনে করতে পারে ওরা মেয়ে তাই ওরা আলাদা। আমি কখনও রঙ দিয়ে ওদের আলাদা করিনি, পোশাক দিয়ে করিনি, খেলা দিয়ে করিনি, দায়িত্ব দিয়ে করিনি! এর ফলস্বরূপ ওরা পোশাক পরতে শিখেছে আবহাওয়া বুঝে, প্রয়োজন বুঝে, ভালোলাগা বুঝে, আরাম বুঝে। ওরা ফুটবল খেলে, ক্রিকেট খেলে। ওদের খেলনার কালেকশনে হাড়িপাতিল পুতুলের পাশাপাশি গাড়ি এবং অন্যান্য খেলনাগুলো দিয়েও খেলতে শিখেছে। ওদের কাছে খেলা ও খেলনার কোনো জেন্ডার নেই। আমি যখন মধুর চুল দ্বিতীয়বার কাটি তখন ওর বয়স সাড়ে তিন বছর। হাসতে হাসতে চুল কেটে ফেলেছিলো! বরং কেউ জিজ্ঞাসা করলে বলতো, আবার হবে! এটা আপাত দৃষ্টিতে অনেক ছোট একটা ব্যাপার কিন্তু এটা দারুণ একটা শেখা। মানুষ হিসেবে আমি কেমন দেখতে এটা ম্যাটার করে না। কে আমাকে নিয়ে কি বললো বা ভাবলো এটাও ম্যাটার করেনা। মানুষ তো মানুষই! মানুষের শক্তি তাঁর চেহারায় নয় বরং তাঁর বুদ্ধিতে এবং কাজে!