আমার মায়ের বাড়িতে একটা পারিবারিক ঐতিহ্য হল সংস্কৃতির চর্চা। পরম্পরাগতভাবে আমি চেয়েছি চিনি ও মধুর সুর, সংগীত ও সংস্কৃতির প্রতি ভালো লাগা তৈরি হোক। এর আরেকটা কারণ হল সংগীত এর চর্চা শিশুদের ব্রেইন ডেভেলপমেন্টের ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখে। সংগীত চর্চা বিনোদনের একটা মাধ্যম। আমার শৈশবে আমার মা বলেছিলেন যে মন খারাপ হলে নিজের জন্য গান গাইলে মন ভালো হবে। আমি এখনও নিজের মন ভালো করার জন্য গান গাই। আমার ইচ্ছে ওরা পিয়ানো বাজাতে শিখুক। অবশ্য ওদের ইচ্ছেটাও জরুরি। এজন্য আমি মাঝে মাঝে ওদের নিয়ে একটা ক্যাফেতে চলে যাই। ওখানে পিয়ানো রাখা আছে। চিনি ও মধু ওখানে গেলেই বাজায়। বাজায় মানে সুর, তাল ও লয়ে নয়; ইচ্ছেমতন। তবু আমার আগ্রহ যে ওদের পিয়ানো ঠিক কতখানি টানে! হয়তো ভবিষ্যতে চর্চা চালিয়ে গেলে আবেগের কোন এক মুহুর্তে ওরা নিজের জন্য পিয়ানো বাজাবে!