আমার মা সব সময় বলতেন নিজের জন্য গান গাইবে, মন ভালো থাকবে। আমি শৈশবে ১২ বছর গান শিখেছিলাম হারমোনিয়াম বাজিয়ে। চিনি ও মধুকে নানা রকমের বাদ্যযন্ত্র দেখানোর পর ওরা এবং আমরা ঠিক করলাম পিয়ানো বাজানো শেখা যাক। মধুর গান গাইবার কন্ঠ আছে কিন্তু চিনির নেই। কিন্তু দুই বোন একসাথে শিখলে ভালোভাবে শিখতে পারবে। কাজেই পিয়ানো সেদিক থেকে উপযোগী বাদ্যযন্ত্র। চিনি ও মধুকে পিয়ানো টিচারের কাছে দিয়ে দিলাম। আর আমিও ভর্তি হয়ে গেলাম! এখন আমরা তিনজন মিলেই পিয়ানো বাজানো শিখছি। সময়ও ভালো কাটছে আর আমাদের মা ও মেয়েদের মধ্যেও যোগাযোগের ক্ষেত্রে বাংলা ভাষা ছাড়া সুরের একটা মাধ্যম তৈরি হয়েছে! এটা কি দারুণ নয়?