চিনির বয়স যখন সাড়ে-তিন তখন সে প্রথম শিশুদের একটা বেকিং ওয়ার্কশপে অংশগ্রহণ করে। এরপর ওরা দুজনে একসাথে বেকিং এর আরও ওয়ার্কশপে অংশ নিয়েছিল। ওর বাবার একটা জন্মদিনে আমি ঠিক করলাম বাবার কেকটা বেক করে ডেকোরেট করে নিয়ে আসবো। আমরা ঠিক তাই করেছিলাম। আমরা আমাদের পরিবারের পাঁচজন মিলে কেক বানিয়েছিলাম। আমাদের গাইড করেছিলেন একজন প্রফেশনাল বেকার। এই অ্যাক্টিভিটির প্ল্যান করেছিলাম পাঁচজন মিলে একসাথে কিছু করার জন্য, শেখার জন্য, সেলিব্রেট করার জন্য। শুধু কেক কাটার মধ্য দিয়ে জন্মদিন সেলিব্রেট করতে চাইনি। আমি চেয়েছি একসাথে কিছু করার মাধ্যমে সেলিব্রেট করতে। যেটা আমরা আমাদের সবার জন্মদিনেই করে থাকি। একবার চিনির জন্মদিনে সবাই মিলে নার্সারিতে গিয়ে গাছ লাগালাম। নিজেরাই মাটি ও সার দিয়ে লাগিয়ে গাছ কিনেছি। এটাও ছিল অন্যরকম এক আনন্দ। আসলে সবাই মিলে অংশগ্রহন করতে পার এমন কিছু করেই কোন বিশেষ দিন সেলিব্রেট করার সংস্কৃতি আমাদের পরিবারে তৈরি হয়েছে।